ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ৯ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় সমাধান: আমাদের সবারই আত্মপরিচয় রয়েছে। আমাদের একটি নাম আছে। আছে একটি পরিবার, সমাজ, এলাকা ও রাষ্ট্র। অনেকের সঙ্গে আমাদের অনেক কিছু মিলে গেলেও কিছু বিষয় থাকবেই, যা আমাদের অন্যদের থেকে ভিন্ন করে তুলছে। এমনকি একই পরিবারের, একই মায়ের সন্তান হয়েও ভাই- বোনের মধ্যেও ভিন্নতা রয়েছে। আমাদের দেশের একটি মানচিত্র আছে, যা একটি ভৌগোলিক সীমারেখাকে প্রদর্শন করে।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে হাজার বছরের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। আর এ জাতিকে বলিষ্ঠভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বে প্রায় ৯ মাস যুদ্ধের পর আমরা পেয়েছি আমাদের নিজস্ব পতাকা ও একটি স্বাধীন মানচিত্র। আমরা আমাদের নাগরিক হিসেবে একটি পরিচয় বহন করি। আমাদের রীতিনীতি, মূল্যবোধ; আচরণ, ভাষা ও খাবারের মিল আছে। কিন্তু আমাদের দেশের সব অঞ্চলের মানুষের আচরণিক বৈশিষ্ট্য এক নয়। আমাদের ভৌগোলিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে রয়েছে ভিন্নতা। তাছাড়া এ দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, পোশাক, রীতিনীতি, উৎসব উদযাপনের সংস্কৃতি।
ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ৯ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় কুইজ প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। আরব বেদুইনরা কোথাকার অধিবাসী
উত্তর: মরুভূমির।
প্রশ্ন ২। আরব বেদুইনদের প্রধান খাবার কী?
উত্তর : মরুভূমির খেজুর।
প্রশ্ন ৩। ভাষা আন্দোলন কত সালে সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তর: ১৯৫২ সালে।
প্রশ্ন ৪। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সোপান বলা যায় কাকে?
উত্তর: ভাষা আন্দোলনকে।
প্রশ্ন ৫। ১৯৪৭ সালে কিসের ভিত্তিতে ভারতকে ভেঙে তিন টুকরা করা হয়েছিল?
উত্তর: ধর্মের ভিত্তিতে।
প্রশ্ন ৬। যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠিত হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৫৪ সালে।
প্রশ্ন ৭। ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন তুলে নেওয়া হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬২ সালে।
প্রশ্ন ৮। ছয় দফা ঘোষণা করা হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৬ সালে।
প্রশ্ন ৯। ছয় দফা কে ঘোষণা করেন?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রশ্ন ১০। “আরবি হরফে বাংলা লিখলে বাংলার বিরাট সাহিত্য ভান্ডার থেকে আমাদিগকে বঞ্চিত হতে হবে” উক্তিটি কার?
উত্তর: ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর।
প্রশ্ন ১১। ১৯৫২ সালের পূর্ব পাকিস্তান সাংস্কৃতিক সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: কুমিল্লায়।
প্রশ্ন ১২। আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ কে ছিলেন?
উত্তর: গবেষক ও পুঁথি সংগ্রাহক।
প্রশ্ন ১৩। ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তর: মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
প্রশ্ন ১৪। সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলনে কোন সাংস্কৃতিক সংগঠন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে?
উত্তর: ছায়ানট।
প্রশ্ন ১৫। ছায়ানট কত সালে কাজ শুরু করে?
উত্তর: ১৯৬৩ সালে।
প্রশ্ন ১৬। কোন স্থান থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়?
উত্তর: চারুকলা ইনস্টিটিউট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
প্রশ্ন ১৭। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কোন সংগঠন?
উত্তর: ইউনেস্কো।
প্রশ্ন ১৮। জহির রায়হান কে ছিলেন?
উত্তর: চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক।
প্রশ্ন ১৯। ভাওয়াইয়া গান কোন অঞ্চলে প্রচলিত?
উত্তর: উত্তরবঙ্গে।
প্রশ্ন ২০। কোন গানের সুরে ভাঁজ রয়েছে?
উত্তর: ভাওয়াইয়া।
প্রশ্ন ২১। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কয় মাস স্থায়ী হয়েছিল?
উত্তর: ৯ মাস।
প্রশ্ন ২২। কোন শিল্পী সর্বপ্রথম বর্ণমালা শাড়ি তৈরি করেন?
উত্তর: কামরুল হাসান।
প্রশ্ন ২৩। মজলুম জননেতা বলা হয় কাকে?
উত্তর: মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে।
প্রশ্ন ২৪। কাগমারী কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর: টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন ২৫। ‘সর্বমানবের সংস্কৃতি আপনারা গড়ে তুলুন’ উক্তিটি কার?
উত্তর: আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের।
প্রশ্ন ২৬। কার জাদুকরি নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বীরের জাতিতে রূপান্তরিত হয়?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।
ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ৯ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। আরব বেদুইন কারা?
উত্তর: মরুভূমির অধিবাসী এবং যাদের কোনো নির্দিষ্ট আবাস্থল নেই তাদেরকেই আরব বেদুইন বলে।
প্রশ্ন ২। মরুভূমির সব দুর্গম পথ আরব বেদুইন কীভাবে চিনে?
উত্তর: মরুভূমির বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর ফলে মরুভূমির সব দুর্গম পথ তাদের চেনাজানা।
প্রশ্ন ৩। আরব বেদুইনরা কেন এত পরিশ্রমী এবং বলিষ্ঠ?
উত্তর: মরুভূমির আবহাওয়া ও ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বেদুইনদের পরিশ্রমী, বলিষ্ঠ ও উদ্যমী করে তুলেছে।
প্রশ্ন ৪। ভাষা আন্দোলনকে স্বাধীনতার প্রথম সোপান বলা হয় কেন?
উত্তর: ভাষা আন্দোলনকে স্বাধীনতার প্রথম সোপান বলা হয় কারণ এ ভাষা আন্দোলন থেকেই বাংলাদেশের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে।
প্রশ্ন ৫। ১৯৪৭ সালে ধর্মের কারণে অনেককেই দেশ পরিবর্তন করতে হয়েছিল কেন?
উত্তর: ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভারতকে ভেঙে দুই ভাগ করা হয়েছে। ফলে অনেককেই দেশ পরিবর্তন করতে হয়েছে।
প্রশ্ন ৬। কোন ঘোষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাংলায় সব আন্দোলনের মধ্যমণি হয়ে উঠেন?
উত্তর: স্বায়ত্তশাসনের দাবিসহ ছয় দফার ঘোষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যমণি হয়ে উঠেন।
প্রশ্ন ৭। ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি বীরের জাতিতে রূপান্তরিত হওয়ার পিছনে বড় কারণ কী ছিল?
উত্তর: ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি বীরের জাতিতে রূপান্তরিত হওয়ার পিছনে বড় কারণ ছিল উপযুক্ত নেতার সঠিক নেতৃত্ব।
প্রশ্ন ৮। ছায়ানট কী?
উত্তর: ছায়ানট হলো বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৬১ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন ৯। মঙ্গল শোভাযাত্রা কী?
উত্তর: মঙ্গল শোভাযাত্রা হলো প্রতিবছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে আয়োজিত একটি নতুন বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
প্রশ্ন ১০। কাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে পেয়েছি?
উত্তর: ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাকে আমরা মাতৃভাষা হিসেবে পেয়েছি।
প্রশ্ন ১১। কীভাবে আমরা একটি স্বাধীন মানচিত্র অর্জন করেছি?
উত্তর: দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন মানচিত্র অর্জন করেছি।
প্রশ্ন ১২। কার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতার স্বাদ লাভ করেছে?
উত্তর: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে।
ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ৯ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় বড় প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় কত সালে? ভাষা আন্দোলনকে বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতার সোপান বলা হয় কেন?
উত্তর: ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৪৮ সালে। ভাষা আন্দোলনকেই বলা যায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সোপান। এ থেকেই বাংলাদেশের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। তবে তা রাতারাতি বা একটিমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই হয়নি। ভাষা আন্দোলনের পর থেকে যুগপৎ রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলন চলছিল।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে রফিক, বরকত, সালাম, জব্বার, শফিউরসহ অনেককে। শোকাবহ এ ঘটনার অভিঘাতে সমগ্র বাংলায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের মুখে পাকিস্তান সরকার নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। এ থেকেই বাঙালি মুক্তি ও স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে থাকে। যা বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার বন্দরে নোঙর করতে সহযোগিতা করে। এজন্যই ভাষা আন্দোলনকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম সোপান বলা যায়।
প্রশ্ন ২। কার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে? বঙ্গবন্ধু কীভাবে বাংলায় সব আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যমণি হয়ে ওঠেন?
উত্তর: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। অর্জন করেছে একটি লাল সবুজের পতাকা ও একটি স্বাধীন মানচিত্র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকাকালীন ১৯৬৬ সালে স্বায়ত্তশাসনের দাবিসহ ছয় দফা ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই বাংলায় সব আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যমণি হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তান সরকারও তাকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে সবসময় জেল-জুলুমের মধ্যে রেখেছিল।
১৯৭১ সালে বাঙালির রূপান্তর এবং এক বীরের জাতিতে উত্তরণের পিছনে বড় কারণ হলো বঙ্গবন্ধুর সঠিক নেতৃত্ব। বলা যায় বঙ্গবন্ধুর জাদুকরি নেতৃত্বে সেদিন সব ধরনের বাঙালির রূপান্তর ঘটে এক বীরের জাতিতে। প্রকৃত বীর কেবল লড়াই করে না প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগেও প্রস্তুত থাকে। বাঙালি বঙ্গবন্ধুর মতো এমন নির্ভরযোগ্য সাহসী দৃঢ়চেতা নেতাকে পেয়ে তাদের দেহমনে জেগে ওঠে মৃত্যুষোত ডিঙিয়ে দেশমাতৃকা ছিনিয়ে আনার প্রেরণা। বঙ্গবন্ধুর এমন দৃঢ়চেতা মনোভাব ও সাহসী নেতৃত্বই বাঙালি জাতিকে উপহার দেয় একটি লাল-সবুজের পতাকা ও একটি স্বাধীন মানচিত্র।
প্রশ্ন ৩। ছায়ানট কী? কোন লক্ষ্য নিয়ে এটি প্রথম কাজ শুরু করে? এর কার্যক্রম বর্ণনা কর।
উত্তর: ছায়ানট বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৬১ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হলেও রবীন্দ্রসংগীতসহ বাংলা প্রমিত গান চর্চা ও এর ভিত্তিতে বছরে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের লক্ষ্যে ১৯৬৩ সালে সংগঠনটি কাজ শুরু করে। ছায়ানটই প্রথম রমনার বটমূলে নববর্ষের প্রভাতি অনুষ্ঠান শুরু করে।
সেই থেকে এই সংগঠনটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসব পালন করে আসছে। এছাড়াও ছায়ানট বাদ্যযন্ত্র, সংগীত, নৃত্য প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সংগীত বিদ্যালয় পরিচালনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ রমনার বটমূলে ছায়ানটের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
প্রশ্ন ৪। মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজক প্রতিষ্ঠান কোনটি? কত সালে এটি প্রথম শুরু হয়? বাংলাদেশের শিল্প ও সাংস্কৃতিক অভঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান বর্ণনা কর।
উত্তর: মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজক প্রতিষ্ঠান হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। ১৯৮৯ সালে এটি প্রথম শুরু হয়। চারুকলা অনুষদ প্রতিবছর মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে থাকে। সাম্প্রতিককালে এটি বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে।
বাংলাদেশের শিল্প ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনেক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চাশের দশকেই প্রগতিশীল লেখক-শিল্পী-শিক্ষার্থীরা মিলে গঠন করেছিলেন সংস্কৃতি সংসদ-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তৎকালীন কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান, শিক্ষাবিদ, আনিসুজ্জামানসহ অনেকেই। পরবর্তীকালে অগ্রসর সৃজনশীল ছাত্রছাত্রীরাই এতে যুক্ত হয়েছেন। ঘাটের দশক জুড়ে ছাত্র সংসদ নানা সংস্কৃতি সংসদ, ঢাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগসহ শিক্ষার্থীদের সংগঠন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
প্রশ্ন ৫। প্রায় ঘরে ঘরে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার প্রসার ঘটেছিল। বাংলাদেশের মানচিত্র কোনটিকে প্রদর্শন করে? বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা কর।
উত্তর: বাংলাদেশের একটি মানচিত্র আছে যা একটি ভৌগোলিক সীমারেখাকে প্রদর্শন করে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে হাজার বছরের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষিতে। একসময় এটি ভারতবর্ষের অংশ ছিল। বিভিন্ন রাজা-মহারাজা, সম্রাট এদেশে এসেছেন এবং রাজ্যবিস্তার করেছেন। এভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর আগমন এবং সংমিশ্রণ হয়েছে। এ দেশটির স্বাধীনতার পেছনে রয়েছে লক্ষ মানুষের আত্মদান। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে এদেশের মানুষ চরমভাবে শোষিত হয়েছে।
এরপর পাকিস্তানিদের দ্বারা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার। তারা প্রথমে আমাদের ভাষার ওপর আঘাত হানল। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে শহিদ হন এদেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা রফিক, শফিক, বরকত জব্বারসহ আরও অনেকে। এই শহিদদের রক্তের বিনিময় আমরা পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষা। এরপর থেকে আমরা বারবার সোচ্চার হয়েছি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে আমাদের নাগরিক ও মানবিক অধিকার নিয়ে। আর এই জাতিকে তখন নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বে প্রায় ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা পেয়েছি আমাদের প্রিয় পতাকা ও একটি স্বাধীন মানচিত্র।
প্রশ্ন ৬। যাটের দশকের রাজনীতিকে সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় কেন?
উত্তর: ষাটের দশকের বাঁকবদলের রাজনীতির সঙ্গে একযোগে সংগ্রামী ভূমিকায় ছিল সাংস্কৃতিক অঙ্গন। জাতীয় জাগরণের লক্ষ্যে দশক জুড়ে পরিচালিত এ ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের কারণেই একে সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
আরও দেখুন: ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ৯ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান
‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ৯ম শ্রেণি ২য় অধ্যায়’ নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।