ই-বিজনেস-এর কৌশলগুলো বর্ণনা কর

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, কেমন আছো তোমারা? আজকের আর্টিকেলে ই-বিজনেস-এর কৌশলগুলো বর্ণনা করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।

যে-কোনো কিছু শুরু করার ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে কৌশল অবলম্বন করা। কেননা কৌশল ছাড়া কোনো কিছুই সঠিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। আর তাই ই-বিজনেস কৌশল হচ্ছে ই-ব্যবসা শুরুর প্রধান ও প্রথম শর্ত। যার উপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালিত হবে। ব্যবসা শুরু করার আগে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে অধিক গুরুত্বের সাথে চিন্তা করতে হবে।

ই-বিজনেস-এর কৌশলগুলো বর্ণনা কর

১। ব্যবসার জন্যে প্রস্তুত কি না যাচাই করা: ই-ব্যবসায় আসতে আর্থিক এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত কি না সেটা যাচাই করতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের ব্যবস্থা আছে কি না তা বিশ্লেষণ করতে হবে। ব্যবসার চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তগুলো মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট পরিমাণ মনোবল আছে আছে কি না সেটা চিন্তা করতে হবে। নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে ও ভাবতে হবে। ই- বিজনেসে আসলে কতটুকু সফলতা পাওয়া যাবে এবং তা পেতে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে আর সেগুলো কতটুকু করা সম্ভব হবে। সেই বিষয়ে পুরো একটি গ্রাফ কিংবা ছক তৈরি করতে হবে।

২। প্রোডাক্ট বাচাই করা: কী ধরনের পণ্য নিয়ে ব্যবসায় করা যাবে সেই বিষয়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। একসাথে কতগুলো পণ্য নিয়ে কাজ করা যাবে সেটাও বিশ্লেষণ করতে হবে। ক্রেতা আসলে কোন ধরনের পণ্য কিনতে চায় বা পছন্দ করে সেই পণ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রোডাক্টগুলো সহজে সংগ্রহ করা যাবে কি না। যদি সম্ভব হয় তবে কত কম খরচে তা সংগ্রহ করা যাবে, তা ঠিক করতে হবে। সংগ্রহ করা করা যদি কঠিন হয় তবে সেক্ষেত্রে কত সহজে সংগ্রহ করা যাবে সে কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

৩। প্রোডাক্ট-এর খরচ এবং পরিবহন খরচ: অল্প সময়ে ভালো প্রোডাক্ট কীভাবে আনা যাবে ও কত কম খরচে প্রোডাক্ট আনা যাবে তা খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রোডাক্ট যত কম দামে কেনা যাবে ও পরিবহন খরচ যত কম হবে, প্রোডাক্টের খরচ মূল্য যত কমবে এবং তত কম মূল্যে ক্রেতার কাছে তা বিক্রি করা যাবে। আর এই খরচ যত কমানো যাবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকা তত বেশি সম্ভব হবে। কত বেশি লাভ করা যাবে তা নয়, বরং কত কম দামে ভালো প্রোডাক্ট কিনে কত কম লাভে বিক্রি করা যাবে তার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।

৪। প্রোডাক্ট-এর গুণগত মান রক্ষা: প্রোডাক্ট ভালো এবং সুন্দরভাবে সুরক্ষিত উপায়ে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হওয়া ব্যবসার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। কত সময় ধরে প্রোডাক্ট ভালো থাকবে এবং কীভাবে রাখলে ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত থাকবে তা নিজেকে সঠিক উপায়ে ঠিক করতে হবে। প্রোডাক্টকে ভালোভাবে প্যাকিং করতে হবে, যাতে ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকে। প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। ক্রেতার সাথে যেই ধরনের প্রোডাক্টের বিষয়ে কথা বলা হয়েছে সেই ধরনের প্রোডাক্টের মান অক্ষুণ্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৫। প্রতিষ্ঠানের নাম নির্ধারণ ও আইনি কাজ: প্রতিষ্ঠানের নাম নির্ধারণ করতে হবে। যদি বিশেষ কোনো পণ্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে থাকে তবে সেই পণ্যের নামে প্রতিষ্ঠানের নাম দেয়া যায়। আর যদি বেশকিছু পণ্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে থাকে তবে পণ্যগুলোর সাথে মানানসই সেইরকমভাবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিক করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ট্রেডমার্ক ও লোগোসহ যাবতীয় আইনি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমসাময়িক শব্দ কিংবা কী-ওয়ার্ড নিয়ে দারুণভাবে সময়কে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং মানুষ কোন শব্দ পছন্দ করে এ বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ব্যবসায় দাঁড় করানোর প্রথম পদক্ষেপই হচ্ছে নাম। নাম দিয়েই মানুষ প্রতিষ্ঠানকে চিনবে। সুতরাং নাম নির্বাচনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

৬। ডোমেইন এবং হোস্টিং নির্বাচন: প্রতিষ্ঠানের জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং নির্বাচন করতে হবে। ডোমেইন নিয়ে রিসার্চ করতে হবে কী ধরনের ডোমেইন নাম অর্থাৎ ওয়েবসাইটের ঠিকানা কী হলে মানুষ খুব পছন্দ করবে। সহজে পড়া যায় এবং সুন্দর একটা নাম রাখতে হবে। যেই নাম দিয়ে ক্রেতাকে আকর্ষণ করা যায় সেটি বের করতে হবে। আশেপাশের পরিচিত সুন্দর শব্দগুলো থেকেই সঠিক উপায়ে নাম নির্ধারণ করতে হবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম এমনভাবে নির্বাচন করতে হবে, যাতে অনেক কিছু অর্থ বহন করে। ডোমেইন প্রোভাইডাররা পুরো কন্ট্রোল প্যানেল দিচ্ছে নাকি সেটার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে, সিক্রেট কোড দিচ্ছে নাকি সেটা দেখতে হবে, তারপর হোস্টিং-এর ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। কী পরিমাণ ডাটা এবং কী পরিমাণ ব্যান্ডউইথ নিয়ে কাজ করতে হবে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। কতজন কাস্টমার একসাথে ওয়েবসাইট ভিজিট করতে সক্ষম, তার সম্যক ধারণা অবশ্যই রাখতে হবে। আর তা না হলে WEBSITE TEMPORARY UNAVILABLE-এর সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

ফলে সাইটের সুনাম ধরে রাখা যাবে না। সাধারণত CPU USE LIMIT-এর সমস্যার জন্যে এটি হয়। অর্থাৎ, বেশি ভিজিটর আসলে এই সমস্যায় পড়তে হয় এবং সেই হিসেব করেই বিক্রেতার পছন্দমতো হোস্টিং প্ল্যান নিতে হবে। ডেডিকেটেড হোস্টিং সার্ভার প্ল্যান নিতে হবে। লিনাক্স, ভিপিএস কিংবা ক্লাউড হোস্টিং প্ল্যানের মতো একটা প্ল্যান নিতে হবে। শেয়ারড হোস্টিং নেয়া যাবে না, কারণ এতে করে ওয়েবসাইটের গতি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কারণ এই হোস্টিং-এ অনেকের একাধিক সাইট শেয়ারড অবস্থায় থাকে, তাই সাইটের গতি কম হয়। তাই হাইস্পিড, খরচ, আপটাইম ও সার্ভিস সবকিছু খেয়াল করে প্ল্যান করতে হবে। ব্যাকআপ কতদিন দিবে এই প্ল্যানের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

৭। ওয়েবসাইট-এর প্ল্যাটফর্ম তৈরি: ওয়েবসাইট-এর প্ল্যাটফরম কী হবে এবং কোনটি সহজ হবে সবকিছু বিবেচনা করে CMS কিংবা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সিলেক্ট করতে হবে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য CMS বা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম দেওয়া হলো-

  • OPENCART- আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং সহজে ব্যবহার উপযোগী ওপেন সোর্স কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসেবে এটি ব্যবহার করা যায়।
  • MAGENTO- ZEND FRAMEWORK-এ তৈরি জনপ্রিয় একটি কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
  • PRESTA SHOP- এটি ফ্রি ওপেন সোর্সভিত্তিক একটি CMS বা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের জন্যে এটি বেশ জনপ্রিয়।
  • ZENCART- একটি ওপেন সোর্সভিত্তিক CMS হচ্ছে জেনকার্ট।
  • WOOCOMMERCE- WOOCOMMERCE-এর দ্বারা ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে আকর্ষণীয়’ সাইট তৈরি করা যায়। অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কী-ওয়ার্ড

৮। কী-ওয়ার্ড রিসার্চ: কী-ওয়ার্ড রিসার্চ একজন উদ্যোক্তাকে তার নেয়া উদ্যোগের ক্ষেত্রে দিয়ে নিজের সম্ভাব্য পণ্য নিয়ে রিভিউ লিখে ব্লগ করা যেতে পারে। সার্চ ইঞ্জিনে যে-সব পণ্য কী-ওয়ার্ড নিয়ে ক্রেতা বেশি সার্চ করে সে-সব কী-ওয়ার্ড নিয়ে নিজের পণ্যের ওপর ই-কমার্স সাইটের ব্লগে কাজ করা উচিত।। এতে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং ব্লগের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে নিজের কোম্পানির পণ্য সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা যাবে। পেইড টুল লংটেল প্রো (LONG TAIL PRO V3) সফটওয়্যারটি WWW.LONGTAILPRO. COM/ থেকে কিনে ব্যবহার করা যায় এবং পেইড ও ফ্রি টুল MOZ দিয়ে কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করা যাবে।

৯। মার্কেটিং: যত ভালো অবস্থাই থাকুক প্রতিষ্ঠান নিয়ে যদি মার্কেটিং করা না হয় তবে কাস্টমারদের কাছে পৌঁছানো যাবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেইড বিজ্ঞাপন করতে হবে। পেজ প্রমোট করতে হবে ও সেই সাথে পেজ থেকে বুস্টপোস্ট করতে হবে।

এ ছাড়া একজন উদ্যোক্তাকে তার বাজেট অনুযায়ী এসইও, ই-মেইল মার্কেটিং, এসএমএস মার্কেটিং, পোস্টারিং, লিফলেট ও ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করতে হবে। বাজেট যেমন হবে সেইরকম চিন্তা রেখে মার্কেটিং করতে হবে। তবে সবসময় মনে রাখতে হবে মূল ব্যবসায়ের ৩৫-৪৫% এর মতো অর্থব্যবস্থা ন্যূনতম মার্কেটিং-এর জন্য রাখতে হবে। এতে করে ক্রেতার কাছে সহজে বিক্রেতার পণ্য পৌঁছানো যাবে।

১০। পেমেন্ট সিস্টেম: পেমেন্ট প্রসেস কী হবে সেই সম্পর্কে ভালোরকম ধারণা পোষণ করতে হবে। একজন নতুন উদ্যোক্তাকে ক্যাশ অন ডেলেভারি এবং অনলাইন পেমেন্ট দুইটি মাধ্যমের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ক্রেতাকে সময়ের সাথে সাথে অনলাইনে পেমেন্ট করে কেনাকাটায় আগ্রহী করে তুলতে চেষ্টা করতে হবে। এতে করে কেনাকাটার পদ্ধতি এবং লেনদেন অনেক সহজতর হবে সেইসাথে ক্যাশ অন ডেলিভারি প্রসেস পুরোপুরি ব্যবস্থা করতে হবে।

১১। প্রোডাক্ট ডেলিভারি: পণ্য ডেলিভারির সময় ট্রেকিং পদ্ধতি চালু করতে পারলে খুব ভালো হয়। পণ্য এখন কোন এলাকায় আছে তা যদি জানা যায় তবে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে এক দারুণ সমন্বয় ঘটবে। পণ্য ঠিকমতো ক্রেতার কাছে পৌছাতে কত সময় লাগবে তা সঠিক নিরূপণ করে ক্রেতাকে জানানো সম্ভব হলে তা ক্রেতাকে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কেনার ব্যাপারে দারুণ আগ্রহী করে তুলবে। পণ্য ডেলিভারির সময় খুব সুন্দরভাবে কোম্পানির লগো মোড়ানো পেপার দিয়ে প্যাকিং করে দিতে হবে এবং পণ্য এর গুণগতমান যেন ভালো থাকে তা লক্ষ রাখতে হবে। তাহলে ক্রেতা ভালো পণ্য পাবে।

১২। কাস্টমার সাপোর্ট: অনেক সময় পণ্য নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা হয়। সে-সব সমস্যা সমাধানের জন্যে ২৪ ঘণ্টা কাস্টমার সাপোর্ট ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে ক্রেতার সন্তুষ্টি অনেকাংশে বৃদ্ধি করবে। ক্রেতার সাথে ভালো ব্যবহার করা ব্যবসার এক গুরুত্বপূর্ণ দিক। কাস্টমার সাপোর্ট পেয়ে সন্তুষ্ট হলেই পরবর্তীতে সেই ব্যক্তি একই প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কিনতে আগ্রহী হবে। কোনো সমস্যা হলো কি না ডেলেভারি নিয়ে তা জেনে নেওয়া এবং কী ধরনের সেবা ক্রেতা চাচ্ছেন সেই সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

১৩। টিম ম্যানেজমেন্ট: কোনো বিষয়ে একজন মানুষ দক্ষ সেটা যদি একজন উদ্যোক্তা বুঝতে না পারে তাহলে সমস্ত প্রসেস চেইন ঠিকমতো কাজ করবে না। সাপ্লাই থেকে শুরু করে পুরো প্রসেস, পেমেন্ট ও প্রোডাক্ট সোর্সিং সব বিষয়গুলো একটি ডিপার্টমেন্ট আরেকটি ডিপার্টমেন্ট-এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রতিটি পদক্ষেপ তখনই সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যখন প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট-এর লোক ঠিকমতো দক্ষতার সাথে কাজ করে। এজন্যে ট্রেনিং সেশন প্রতিষ্ঠানে চালু রাখা উচিত। কারো পারফর্ম নেমে গেলেই তাকে ট্রেনিং সেশনে পাঠিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়ে কাজ শেখানো এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর কাজ করা দরকার। টিমের সকল সমস্যা বুঝতে হবে। তবেই প্রতিষ্ঠান ভালো করবে।

১৪। বাজেট নির্ধারণ: সব উদ্যোগ ও কাজগুলো সম্পন্ন করতে প্রয়োজন একটি সুনির্দিষ্ট বাজেট। কখন, কোথায়, কীভাবে ও কত পরিমাণ বাজেট নির্ধারণ করতে হবে, তার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। প্রতিষ্ঠান শুরুর পূর্ববর্তী রিসার্চ করার সময়ই ব্যাপারগুলো উঠে আসে। যেই পরিমাণ অর্থ নিয়ে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর দরকার মনে হচ্ছে ঠিক সেই পরিমাণ টাকা একজন বিক্রেতার সাপোর্টিং বাজেট হিসেবে রাখতে হবে। যাতে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর সময় কিংবা দাঁড় করানোর পরেও কোনোরূপ সমস্যার সম্মুখীন হলে সেই সাপোর্টিং বাজেট সহায়তা করতে পারে। এটা অবশ্যই আমাদের দেশে উদ্যোক্তাদের ব্যবসার শুরুতেই ভাবা উচিত।

যে বাজেট নিয়ে একজন বিক্রেতা ব্যবসা করছে সেটা কীভাবে ও কোন খাতে খরচ করবে সেটাও লক্ষ রাখতে হবে। ৩৫-৪০ ভাগ বাজেটের টাকা মার্কেটিং, ৩৫-৪০ ভাগ প্রোডাক্ট ও প্রোডাক্ট কোথায় পাওয়া যায়, আনার বিষয়ে বাজেট ধরতে হবে এবং কারিগরি দিক ও প্রতিষ্ঠান চালানো খরচ ২০-২৫ ভাগ বাজেট রাখতে হবে। বাজেটের আকারভেদে বিভিন্ন বিষয় বুঝে সেই হিসেবে সঠিকভাবে বাজেট রাখতে হবে।


আরও দেখুন: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের সমস্যাসমূহ বর্ণনা কর

আশাকরি ই-বিজনেস-এর কৌশলগুলো বর্ণনা কর আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

Leave a Comment